প্রকাশিত: Mon, May 6, 2024 11:56 AM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 7:47 PM

[১]সংকটে পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী

সালেহ্ বিপ্লব: [২] শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোন দুঃসময়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং একটা ভরসাস্থল হিসেবে আজ সে আস্থা সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি রোববার ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রধানমন্ত্রীর দরবারে’ দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

[২.১] ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত বহুতল বিশিষ্ট আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অফ প্যাথলজি (এএফআইপি) এবং সেনাপ্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবন উদ্বোধনের পর তিনি দরবারে যোগ দেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

[৩] শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলো। যে কোনও সেনাবাহিনীর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ^াস একান্তভাবে জরুরি। আর যে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ^াস থাকে না তারা কখনো কোন রণাঙ্গনে বিজয় অর্জন করতে পারে না। আমার প্রচেষ্টা ছিলো সেনাবাহিনীর প্রতি যেন সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ^াস পুনরুদ্ধার হয়। 

[৪] সরকারপ্রধান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন তারই ভিত্তিতে আমরা ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছি। ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিক ও জ্ঞান সম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

[৫] প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের ২০০৮ এর নির্বাচনের লক্ষ্য ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা; কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠবে-সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

[৬] তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা।

[৬.১] শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অবদান রাখছে, তাতে প্রত্যেকটি দেশ এর ভূয়সী প্রশংসা করে থাকে। কাজেই সেটাকে আরো উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।

[৭] প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ১৪ তলা এএফআইপি ভবনটি আধুনিক পরীক্ষাগারে সজ্জিত যেখানে আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের অনুক্রম, স্বয়ংক্রিয় রোগজীবাণু শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ এবং মাল্টি-হেডেড মাইক্রোস্কোপ ইনস্টল করা হয়েছে।

[৭.১] সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন সেনা প্রাঙ্গণ গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার ও সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মিত হয়েছে।